আজকের সেহরির শেষ সময় 2023

রমজান মাসের প্রত্যেকটি মানুষের সুবিধার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আলোচনা করা হয়েছে এবং তা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি বাংলাদেশের যে জেলাতেই বসবাস করুন না কেন আপনার জেলার রমজান মাসের সময়সূচি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

আপনাদের জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে এই পোষ্টের মাধ্যমে প্রত্যেকটি জেলার সময়সূচী দেখে নেওয়ার জন্য লিংক প্রদান করা হলো এবং সেই লিঙ্ক থেকে আপনারা আপনাদের জেলার রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জেনে নিতে পারবেন। মাহে রমজান মাস উপলক্ষে সারা বাংলাদেশের যে সকল মুসলিম সম্প্রদায় রয়েছে তারা রোজা রাখেন এবং রোজা রাখার জন্য সঠিক সময় সেহরি ও ইফতার সম্পন্ন করতে হবে।277227305 10159985504622722 5384343216207620113 N

মাহে রমজান মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হল সিয়াম সাধনা করা এবং এই সিয়াম সাধনা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো সুবহে সাদিক এর আগে সকল ধরনের আহার সম্পন্ন করা। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা কর্মব্যস্ততার কারণে অথবা অলসতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না এবং সেহরি সম্পন্ন করতে পারেন না।

আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

অনেকেই আছেন দেরি করে উঠে সেহরী সম্পন্ন করেন। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি মনে মনে পুরোপুরিভাবে নিয়ত করেন যে সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠে ছেহেরি সম্পন্ন করবেন সে ক্ষেত্রে আপনার আগের দিন এই সময় জেনে রাখা লাগবে এবং মোবাইল ফোনে এলার্ম সেট করার মাধ্যমে এবং মনের জোর এর মাধ্যমে সঠিক সময় উঠে সেহেরী খেতে হবে।Ramadan Calendar 2022 Bangladesh Pdf Download (Romjaner Calendar 1443)

সেহেরী খাওয়ার জন্য আপনার যে সময় জানা জরুরী সেটি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে প্রত্যেক জেলায় সেহেরি এবং ইফতারের শেষ সময় উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা মনে করি যে প্রত্যেকটি জেলার সময়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে এবং এই পার্থক্য অনুসারে প্রত্যেকটি জেলার সময়ের আলাদা আলাদা বিষয় রয়েছে।

জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩

তাই আপনি যে জেলার বাসিন্দা সেই জেলার সময়সূচী আমাদের ওয়েবসাইটে দেখে নিতে নিচের দিকে চলে যান এবং সেখান থেকে বিভিন্ন জেলার সময়সূচী দেখে নিন।Ramadan Calendar 2022 Bangladesh Pdf Download (Romjaner Calendar 1443)

জেলাভিত্তিক রমজানের সময়সূচী

আমাদের দেশের 64 টি জেলা রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলার অবস্থানগত পার্থক্য রয়েছে এবং এই অবস্থানগত পার্থক্যের কারণে বিভিন্ন জেলার রমজানের সময়সূচী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। প্রধানত ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলার জন্য প্রত্যেক বছর রমজান মাসের সময়সূচি তৈরি করে এবং তা সারা বাংলাদেশে প্রকাশ করে। আর প্রত্যেকটি জেলার অবস্থানগত প্রত্যেক বছরের পার্থক্য হয়ে থাকে সেই পার্থক্যের উপরে নির্ভর করে এবং জেলার অন্যান্য এলাকার ওপরে পার্থক্যের ওপরে মিল রেখে একটি সময়সূচি প্রকাশ করে এবং প্রত্যেকটি জেলার সময়সূচী অন্যান্য জেলার থেকে আলাদা হয়ে থাকে।

রমজান মাসে যেহেতু সেহরি ও ইফতার সম্পন্ন করতে হয় সেহেতু এই সময় শুধু জানার জন্য আমরা একটি নির্দিষ্ট জেলার সময়সূচী জানলে সঠিক সময় কখনই মেনে চলতে পারব না। তাই আপনি বর্তমানে যে জেলায় বসবাস করছেন সেই জেলার সময়সূচী আপনাকে জানতে হবে এবং তার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটে সারা বাংলাদেশের সকল জেলার অর্থাৎ 64 টি জেলার রমজানের জেলাভিত্তিক সময়সূচী প্রদান করা হয়েছে।

সেহরির শেষ সময় 2023

সারাদিন অভুক্ত থাকার পরে নির্দিষ্ট সময়ে সকলে ইফতারের আয়োজন এ অংশগ্রহণ করতে পারলেও অনেকেই আছেন যারা সেহরির জন্য সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। তবে আপনি যদি সঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে চান তাহলে আপনাকে আগে নির্দিষ্ট টার্গেট রাখতে হবে এবং আপনি পরের দিন সেহরির শেষ সময় এর নির্দিষ্ট সময়ের আগে উঠবে নিয়ত করবেন। সেহরির শেষ সময় যদি আপনার জানা থাকে তখন আপনার ভেতরে মাইন্ডসেট হয়ে যাবে এবং আপনি পরের দিন নির্দিষ্ট সময় ঘুম থেকে উঠে সকল কাজ সম্পন্ন করে সেহরী করতে পারবেন।

তাই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনি যে জেলার বাসিন্দা সে জেলার সেহরির শেষ সময় 2022 জেনে নিতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে আপনারা সেহরি সম্পন্ন করতে পারবেন এবং ফজরের সালাত আদায় করতে পারবেন। তাই মাহে রমজান মাস পালন করার জন্য সময় জ্ঞান বৃদ্ধি করুন এবং মাহে রমজানে যেসকল আত্মনিয়ন্ত্রণের শিক্ষা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা রয়েছে সেগুলো ভালোমতো জীবনে প্রতিফলিত করে জীবন সুন্দরভাবে পরিচালনা করুন।

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ ইসলামিক ফাউন্ডেশ মতাবেক সকল জেলার জন্য এই ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। আপনি চাহিলে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

শুরুতেই রোজা পরিচয় জেনে নেয়া দরকার। আর তাহলো-
সূর্যোদয়ের আগে (ভোর রাত) থেকে সূর্য ডোবা (সন্ধ্যা) পর্যন্ত নিয়তসহ খাওয়া-পান করা এবং স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকার নাম হচ্ছে সিয়াম বা রোজা।

রোজার এ পরিচয় থেকে বুঝা যায় যে, সেসব লোকের রোজা ভেঙে যাবে; যদি-
কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো কিছু খায়, কেউ ইচ্ছা করে পান করে, আবার কেউ যদি স্ত্রীর সঙ্গে দিনের বেলায় মেলামেশা এবং বীর্জপাত হয় তবে তার রোজা ভেঙে যাবে।
কেউ ইচ্ছা করে বমি করলে। কেউ যদি হস্তমৈথুন করে, আর তাতে বীর্জপাত হয়।দিনের বেলায় হিজামা বা সিঙ্গা লাগালে, আর তাতে চায়ের কাপ পরিমাণ রক্ত বের হয়।ধূমপান করলেও রোজা ভেঙে যাবে।

ইচ্ছা করে কেউ যদি এ সাতটি কাজ করে তবে তাদের রোজা ভেঙে যাবে। আর এ কাজে ওই ব্যক্তির জন্য রোজার কাজা ও কাফফারা আদায় করতে হবে। এ রোজার কাফফারা হলো- একটি রোজার জন্য লাগাতার ৬০টি রোজা রাখতে হবে। এর মধ্যে যদি কেউ রোজা ভেঙে ফেলে তবে তাকে পুনরায় আবার ৬০টি রোজা রাখা শুরু করতে হবে।

আর কেউ যদি ইচ্ছা করে একটা রোজা ভেঙে ফেলেছেন কিন্তু এখন একাধারে ৬০টি রোজা রাখা সম্ভব নয়, অসুস্থ। তবে তার কী করণীয়? সে ক্ষেত্রে কাফফারা হলো- ৬০জন মিসকিনকে একবেলা খাবার খাওয়াবে। আর তাতে ওই ব্যক্তির রোজার কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।

একটা কথা মনে রাখতে হবে-
রমজানের রোজা পালনের যে মর্যাদা ও ফজিলত। কাফফারা আদায়কালে সে রোজার মর্যাদা ও ফজিলত রমজানের রোজার মতো নয়। তাই ইচ্ছা করে রমজানের রোজা ভেঙে ফেলার কোনো সুযোগই নেই। এ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা জরুরি।

ইফতার গ্রহন করা। রোযা রাখার পর যখন সূর্যস্থ হবে তখন কোনো খাবার গ্রহণ করে রোযা ভঙ্গ করাকে ইফতার বলা হয়।ইফতার গ্রহন করা সুন্নত,ইফতার গ্রহণ না করে লাগাতার রোযা রাখা মাকরুহ। কেননা রাসূল সাঃ তা থেকে বারণ করেছেন। অবশ্য আমরা যে ইফতার গ্রহণ করব তা খুব তাড়াতড়ি করতে হবে, সময় শেষ হেওয়ার সাথে সাথে। কেননা রাসূল সাঃ বলেন সে সকল মানুষ কখোনই কল্যাণ গ্রহণ করতে পারবে না যারা ইফতার তাড়তাড়ি করে করে না।

যায়েদ ইবনে খালেদ রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ বলেছেন; যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করাল সে রোযাদারের সমান সুওয়াব পেল।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রোজার সময় বিশেষ করে রমজানের দিনের বেলায় উল্লেখিত কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সেহরি ও ইফতারের সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে। তাই দেরি না করে এখনি প্রবেশ করুন।