শেরপুর জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুরবাসীর সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী  আপনি চাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।  আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে। এছাড়া প্রয়োজনীয় ইফতার, সেহরি, রমজান মাসের রোজা রাখার নিয়ম, দোয়া-দরূদ কুরআন-হাদিসের আলেক কিচ্ছু পোষ্ট করা হয়েছে।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

রোযাদারের কানও রোযা রাখে; রোযা রাখে নোংরা ও অশ্লীল কথা শোনা থেকে। রোযা রাখে অবৈধ প্রেম ও ব্যভিচারের দিকে আহবানকারী গান-বাজনা শোনা থেকে। রোযা রাখে আল্লাহর হারামকৃত এবং যে কথা তাঁকে ক্রোধাw¦বত ও অসন্তুষ্ট করে সে কথা শোনা থেকে। মুমিনের কান রোযা রাখে শয়তানের সুর শোনা থেকে এবং ইফতার করে রহমানের বাণী শ্রবণ করে। আর তিনি তার কান সম্পর্কে সেদিন কৈফিয়ত নেবেন, যেদিন মানব-দানবকে একত্রিত করবেন। মহান আল্লাহ বলেন, অর্থাৎ, কর্ণ, চক্ষু, হৃদয় -ওদের প্রত্যেকের বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হবে।

রোযাদারের পেটও রোযা রাখে; রোযা রাখে হারাম খাদ্য দ্বারা তা পরিপূর্ণ করা থেকে। সুতরাং সে হারাম খাবার সেহরীতে খায় না এবং ইফতারীতেও না। সে (ব্যাংকের বা অন্য কোন প্রকার) সূদ খায় না। খায় না ঘুস, এতীমের মাল এবং হারাম উপায়ে উপার্জিত কোন অর্থ।

কেননা, যে ব্যক্তি নিজ উদরে হারাম মাল প্রবেশ করায়; অর্থাৎ, তার খাদ্য ও পানীয় হারাম হয়, তার দুআ কবুল হয় না। আর মহান আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ করে বলেন, অর্থাৎ, হে মুমিনগণ! আমি তোমাদেরকে যে সব রুজী দান করেছি তা থেকে হালাল বস্ত্ত আহার কর এবং আল্লাহর কৃতজ্ঞতা কর; যদি তোমরা কেবল তাঁরই দাসত্ব করে থাক তাহলে।Sherpur 1

রোযাদারের উচিৎ, তার হাতও যেন হারাম নেওয়া, ধরা ও স্পর্শ করা থেকে রোযা রাখে। সুতরাং যে মহিলাকে স্পর্শ করা তার জন্য হালাল নয়, তাকে যেন স্পর্শ না করে।

তার হাত যেন রোযা রাখে মানুষের উপর অত্যাচার করা থেকে, কাউকে ধোকা দেওয়া থেকে, কাউকে অন্যায়ভাবে মারা থেকে, সূদ, ঘুস, চুরি, ভেজাল বা অন্য হারাম কারবারের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করা থেকে।

যেমন তার পাও যেন রোযা রাখে। আর তার রোযা হবে যে পথে গেলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন সে পথে তথা সকল প্রকার পাপাচরণের পথে চলা হতে বিরত থেকে।

আর প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি রোযা রেখে হারাম কথা ও তার উপর আমল ত্যাগ করতে পারল না, সে ব্যক্তির পানাহার ত্যাগ করার মাঝে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।হারাম কথার উপর আমল করার মানে হল, প্রত্যেক হারাম কাজ করা।

মোট কথা হল, রোযাদারের উচিৎ, যাবতীয় পাপাচার, সমস্ত রকম হারাম কথা ও কাজ থেকে দূরে থাকা। তবেই তার রোযা তার জন্য উপকারী হবে; নচেৎ না।

যে সকল শ্রেষ্ঠ ইবাদত দ্বারা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়, তার মধ্যে রোযা হল অন্যতম। আল্লাহ তা বান্দার জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন, যাতে করে বান্দা তদ্দবারা নিজের আত্মা ও মনকে সংশুদ্ধ করতে পারে এবং প্রত্যেক কল্যাণের উপর তাকে অভ্যস্ত করতে পারে। সুতরাং রোযা রাখা অবস্থায় রোযাদারকে এমন সব কর্ম থেকে দূরে থাকা বাঞ্ছনীয়, যা তার রোযাকে দূষিত করে ফেলে। যাতে সে তার রোযা দ্বারা পুরোপুরি উপকৃত হতে পারে। তদ্দবারা সেই ‘তাকওয়া’ ও ‘পরহেযগারী’ লাভ হয়, যার কথা তিনি কুরআনে বলেছেন।