সৌদি আরবের রোজার সময়সূচী ২০২৩
আপনি কি সৌদি আরবের রোজার সময়সূচী ২০২৩ সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আশা করি এখান থেকে আপনি সৌদি আরবের রমজান মাসের সঠিক ইফতার ও সেহরীর সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। রমজান মাসটি অত্যন্ত পবিত্র একটি মাস এবং আরবি অন্যান্য মাসগুলোর তুলনায় এই মাস অনেক বেশি বরকতময়।
এজন্য প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিভিন্ন রকমের ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করে। আর আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম উপায় হচ্ছে রমজান মাসের সিয়াম সাধনা করা। আর রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনা করলে যে শুধুমাত্র ধর্মীয়ভাবে উপকৃত হওয়া যায়, তা নয়। সিয়াম সাধনার বিভিন্ন সামাজিক ও নৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি।
সঠিকভাবে নিয়তের সাথে রোজা রাখলে আল্লাহ তা’আলা অনেক বেশি খুশি হয় এবং আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আর ওই ব্যক্তির উপর আল্লাহ তায়ালার রহমত বর্ষিত হয়। তবে রোজা রাখার সাথে সাথে অন্যান্য ইবাদত গুলো করতে হবে এবং সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। কেননা কোন ব্যক্তি যদি রোজা রাখে এবং বিভিন্ন রকমের পাপ কাজেও লিপ্ত থাকে তাহলে তার ইবাদত কখনোই ইবাদত হিসেবে কবুল হয় না এবং সে রোজা রাখার জন্য কোন ধরনের সুফল ভোগ করতে পারবে না। তাই রোজা রাখার পাশাপাশি অন্যান্য আমলগুলো করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। তাছাড়া গরীব দুঃখীদের সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।
সৌদি আরব জেদ্দা
সৌদি আরব দাম্মাম
সৌদি আরব রিয়াদ
সৌদি আরব মক্কা
অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করলে ধনীদের সম্পত্তি ফুরিয়ে যায় না বা কমে যায় না। বরং ধনীদের সম্পত্তির পবিত্রতা তৈরি হয় এবং তাদের সম্পত্তিতে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়। ফলে যে সকল ব্যক্তি বেশি বেশি দান করে তাদের সম্পত্তির আরো বৃদ্ধি ঘটে এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত তাদের উপর বর্ষিত হয়। তাই প্রত্যেকটা ধনী ব্যক্তির উচিত অসহায় ব্যক্তিদের সহযোগিতা করা এবং তাদের বিপদে-আপদে এগিয়ে আসা। রমজান মাসের রোজা রাখার মাধ্যমে অসহায় ব্যক্তিদের কষ্টটা অনুধাবন করা যায় এবং তারা না খেয়ে যে কতটা কষ্ট করে সে বিষয়টিও আন্দাজ করা যায়। তাই মুসলমানগণ রোজা রাখার মাধ্যমে গরীবদের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারে এবং তাদের সহযোগিতা করার মানসিকতা তৈরি হয়। এজন্য রোজা রাখা ধর্মীয় গুরুত্তের সাথে সাথে নৈতিক এবং সামাজিক গুরুত্বও অনেক বেশি।
রমজানের পরে আসে ঈদ। রমজানের রোজা রাখার পরে যখন ঈদ আসে তখন মুসলমানদের আনন্দের সীমা থাকে না। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আনন্দে মাতামাতি। এজন্য রমজানের মুসলমানদের নিকট ঈদ আরো বেশি আনন্দময় হয়ে ওঠে। পুরো একমাস যখন ইবাদতের পরে আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভের পরে ঈদ আসে তখন তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায় এবং আনন্দটাও অনেক বেশি হয়। আর ঈদুল- ফিতর মুসলমানের নিকট অনেক বড় একটি ধর্মীয় উৎসব। আর মুসলমানরা এই দিনটি অনেক আনন্দের সাথে পালন করে। একে অপরের সাথে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয় এবং প্রত্যেকে খুশি ও আনন্দের মাধ্যমে ঈদের দিনটি কাটাই।
তবে রমজান মাসে রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সংগ্রহ করা খুবই জরুরি। সৌদি আরবের প্রত্যেকটি শহরে একই সময় বিরাজ করেনা অর্থাৎ বিভিন্ন শহরের মধ্যেও সময়ের প্রার্থক্য দেখা যায়। তাই প্রত্যেকটি শহরের জন্য আলাদা আলাদা সময়সূচি তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরের আলাদা আলাদা সময়সূচি সংগ্রহ করে নিতে চান এবং সঠিক সময় সেহরি ও ইফতার করতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি আপনার উপকারে আসতে পারে। আর আপনি যদি এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন তাহলে বিভিন্ন শহরের আলাদা আলাদা সময়সূচী পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।