বরগুনা জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষ এখন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি খুঁজছে, তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমাদের এখানে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং আপনি চাইলে আমাদের এখান থেকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি দেখে নিতে পারবেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বরগুনা জেলার বাসিন্দাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি পোস্ট করছি।

যারা বরগুনা জেলায় বসবাস করেন তারা মায়ের রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানতে চান। তাহলে অন্য কোথাও খোঁজাখুঁজি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে নিন। বরগুনা জেলার রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

রমজান মাস আরবি মাসসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ মাস। এ মাসের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য অপরিসীম। দুনিয়ার কোনো সম্পদের সঙ্গে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না। রমজানের আগমনে বিশ্বনবি অনেক আনন্দিত হতেন। সাহাবাদের উদ্দেশ্যে এভাবে ঘোষণা দিতেন বিশ্বনবি সাল্লাল্রাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমাদের দরজায় বরকতময় মাস রমজান এসেছে। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুরআনের ঘোষণা দিয়ে এ মাসের বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করতেন।

আর তা ছিল এমন-হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা রাখা ফরজ (বাধ্যতামূলক) করা হয়েছে। যেভাবে তোমাদের আগের লোকদের (নবি-রাসুলের উম্মতের) ওপর ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার। আরো বলেন দোয়া কবুল হওয়ার মাসরমজান মাসের দোয়া আল্লাহ তাআলা কবুল করে নেন বলে জানিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

হাদিসে এসেছে- রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর সমীপে দোয়া করে। আর তা কবুল হয়ে যায়।আরো জানিয়ে দেন জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস এ মাসকে তিন দশকে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে শেষ দশক হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ তাআলা (রমজান মাসের) প্রতি রাত ও দিনে অনেক মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা করেন এবং প্রতিটি রাত ও দিনের বেলায় প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া ‘মোনাজাত’ কবুল হয়ে থাকে।

সৎ কাজের প্রতিদান বেড়ে যাওয়ার মাস রমজান মাসে ভালো কাজের প্রতিদান বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো একটি নফল ইবাদত করল, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরজ আদায় করল। আর রমজানে যে ব্যক্তি একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায় করল। রোজাদারের বিশেষ সম্মানের মাসরমজান মাসের রোজা পালনকারীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সম্মান।

জান্নাতের একটি দরজা শুধু রমজানের রোজা পালনকারীদের জন্যই নির্ধারিত। এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। হাদিসে এসেছে-হজরত খালেদ ইবনে মাখলাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের একটি দরজা রয়েছে ‘রাইয়ান’। কেয়ামতের দিন শুধু রোজাদারগণ এ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।Borguna 1

তারা ব্যতিত অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে করার সুযোগ পাবে না। ঘোষণা করা হবে-রোজাদারগণ কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তারা ব্যতিত এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করবে না। তারা জান্নাতে প্রবেশের পর সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর কেউ তাতে প্রবেশের সুযোগ পাবে না।’ (বুখারি) এ ছাড়াও রমজান মাসের অনেক ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে।

রোজা, সেহরি ও ইফতারের সম্পর্কে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। তাই দেরি না করে এখনি প্রবেশ করুন। এতক্ষন মনোযোগসহ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। চাইলে শেয়ার কিংবা কপি করে অন্যের কাছে পৌঁছাত পারেন