আপনি কি রাজশাহী জেলার একজন বাসিন্দা এবং রাজশাহী জেলায় বসবাস করার কারণে মাহে রমজান মাসের সময়সূচী জানতে এখানে ভিজিট করেছেন? আপনারা যারা রাজশাহী জেলায় বসবাস করেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হলো এবং এই সময়সূচি জেনে নিয়ে আপনারা প্রতিদিনের কাজ সঠিক সময় সম্পন্ন করতে পারবেন বলে মনে করে থাকি।

মাহে রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা করে চলার জন্য আমাদেরকে এই সময়সূচী মেনে চলতে হবে এবং সেহেরী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সঠিক সময় তা গ্রহণ করে ফজরের সালাত আদায় করার পাশাপাশি ইফতারের সময়ও লেট করা যাবে না। তাই জেলা ভিত্তিকের সময়সূচি জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা অন্যান্য আরো পোস্ট দেখতে পারেন এবং সেখান থেকে রমজান মাসের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

জেলাভিত্তিক অবস্থানের কারণে প্রত্যেকটি জায়গায় একই সময়ে সূর্যদয় এবং সূর্যাস্ত হয় না এবং এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ঢাকা জেলার সর্বপ্রথমে মাহে রমজান মাসের সময়সূচী প্রদান করে থাকে। তারপরে ঢাকা জেলার সঙ্গে বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার অবস্থান অনুযায়ী সময়ের যে পার্থক্য রয়েছে সেই পার্থক্যের উপর নির্ভর করে সময়সূচি প্রস্তুত করা হয়। তখন আপনারা সেহেরীর সময় সম্পর্কে অবগত হতে পারেন এবং ইফতারের সময় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন এবং ইফতারের সময়ের উপর নির্ভর করে জেলা ভিত্তিক স্থানীয় এলাকাগুলোতে মাগরিবের আজান দেওয়ার মধ্য দিয়ে ইফতারের নির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে।

তাই আমাদের জীবনে এই মাহে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস এবং আমরা যারা বিভিন্ন ধরনের বদ অভ্যাস ছাড়তে পারি না তারা এই মাসের সঠিক ব্যবহার করার মাধ্যমে টানা ৩০ দিন রোজা পালন করার মধ্য দিয়ে সেই অভ্যাসগুলো ছাড়িয়ে ভালো অভ্যাসে পরিণত করতে পারি। আপনারা যারা মাহে রমজান মাস পালন করবার জন্য নিয়ত করেছেন তারা অবশ্যই সকল ধরনের পবিত্রতা অর্জন করে চলবেন

এবং না খেয়ে রোজা থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজে আমাদের যদি পাপ হয়ে থাকে তাহলে সেগুলোর জন্য আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাইতে পারি। তাছাড়া যে সকল কাজ করলে পাপ হয় অথবা যে সকল কাজ আমাদের দ্বারা করার মাধ্যমে অন্যের কাছে কষ্টকর বলে প্রতিয়মান হয় সে সকল কাজ থেকে অবশ্যই নিজেদেরকে বিরত রাখব।

আর সেই জন্য মাহে রমজান মাসের শিক্ষা আমাদের জীবনে বাস্তবিকভাবে গ্রহণ করতে হবে এবং এই রমজান মাসে আমরা যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি তা যেন ঈদুল ফিতরের পরেও সমানভাবে চালিয়ে যেতে পারি তার জন্য মনে প্রানে নিয়ত করব।

মাহে রমজান মাসের শিক্ষা আমাদের জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে এবং আমাদের জীবনের যাবতীয় দুশ্চিন্তা দূর করে দিয়ে আল্লাহ পাকের কাছে একীভূত হওয়ার শিক্ষা প্রদান করতে পারে। তাই মাহে রমজান মাস আমাদেরকে সাদরে গ্রহণ করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি ইবাদত সঠিক সময়ে পালন করলে আমরা সময়ের বিষয়ে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারব এবং সময়ের কাজ সময়ও করতে পারলে সেটা আমাদের সফলতার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।