নোয়াখালীর জেলার রমজানের সময় সূচি ২০২৩


নোয়াখালী জেলায় যে সকল বাসিন্দা মুসলমান হিসেবে মাহে রমজান মাস পালন করার জন্য নিয়ত করেছেন এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ৩০ টি রোজা রাখবেন বলে শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে প্রস্তুত রয়েছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের রমজান মাসের সময়সূচী প্রদান করা হলো।

আমরা ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এই সময়সূচি প্রদান করার পর নোয়াখালী জেলার সঙ্গে ঢাকা জেলার যে সময়ের পার্থক্য রয়েছে সেই সময়ের পার্থক্য অনুযায়ী হিসাব করে প্রথম থেকে শেষ রমজান পর্যন্ত আপনাদের উদ্দেশ্যে সময়সূচি জানিয়ে দিলাম। যেহেতু সেহেরী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সেহরির শেষ সময় জানাটা অত্যন্ত জরুরী এবং ইফতারের আগে ইফতারের আজান কখন দিবে তা জেনে নিয়ে জোগাড় পাতি করা অত্যন্ত জরুরী সেহেতু আপনারা যদি এটা জেনে নিতে পারেন তাহলে সে অনুযায়ী আপনাদের ইফতারের প্রস্তুতি এবং সেহেরির প্রস্তুতি দুটোই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

শবে বরাত পার হওয়ার পর থেকে একজন মুসলমানের জীবনে মাহে রমজান আসবে বলে একজন মুসলিম অবশ্যই মনে প্রানে খুশি হয়ে থাকেন। কারণ মাহে রমজান মাসে না খেয়ে থেকে মহান আল্লাহ পাকের ইবাদত করার মধ্য দিয়ে যে সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় তা অন্য কিছুর মধ্যে পাওয়া যাবেনা এবং মাহে রমজান মাস আপনার মনকে উগ্রতা থেকে শীতলতায় পরিপূর্ণ করে দিতে সক্ষম হবে।

যারা সময় রাগের মাথায় থাকেন এবং যাদের মন ভালো থাকে না তারা মাহে রমজান মাসে আল্লাহ পাকের কাছে নিজেকে যদি উজাড় করে দিতে পারেন এবং নিজেদের ভেতরের আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দিতে পারেন তাহলে আল্লাহ পাক অবশ্যই খুশি হবেন এবং আপনাদের এই ইবাদতে তিনি আপনাদের মনের চাওয়া পাওয়া গুলো পূর্ণ করবেন। তাই মাহে রমজান মাস আমরা যদি সাদরে গ্রহণ করতে পারি তাহলে এই মাসে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার পাশাপাশি সেহরি খেয়ে রোজা রাখার পাশাপাশি

সারাদিন না খেয়ে থেকে ভালো ভালো কাজ করা এবং অন্যান্য এবাদত করার পাশাপাশি ইফতারের মাধ্যমে রোজাকে ভঙ্গ করতে পারি। তারপরে সালাতুল তারাবি নামাজ আদায় করার পাশাপাশি কোরআন তেলাওয়াত এবং অন্যান্য কে সাহায্য করার মধ্য দিয়ে এই রমজান মাসের যে মহত্ব রয়েছে তা আমরা নিজেদের ভেতরে প্রতিফলিত করতে পারলে অবশ্যই আমাদের লেখা থেকে অন্যান্য মানুষেরও ভালো হবে এবং নিজেদের জীবনকে সুন্দরভাবে বুঝতে ও ব্যবহার করতে শিখবে।Noakhali 1

তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে মাহে রমজান মাসের সময়সূচী প্রদান করা হলো যাতে করে সেহরি খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনারা গড়িমসি না করে সঠিক সময়ের মধ্যে ঘুম থেকে উঠে এটা গ্রহণ করতে পারেন। সেহরি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যারা সব সময় দেরি করে থাকেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আযানের জন্য অপেক্ষা করবেন এবং ফজরের আজান দিলে সালাত আদায় করে আপনি যে কাজের সঙ্গে নিয়োজিত রয়েছেন সেই কাজে নিজেকে জড়িত করতে পারবেন। তাছাড়া সারাদিন যে কাজে ব্যস্ত থাকুন না কেন সেই কাজে করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারা সঠিকভাবে ইফতারের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন এবং পরিবারসহ অন্যান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে একত্রে ইফতার করার মধ্য দিয়ে আপনার এই রোজা পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন হবে।