মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আপনারা যারা নরসিংদী জেলায় বসবাস করছেন তারা অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সঠিকভাবে জেনে নেওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভালো করেছেন। কারণ প্রত্যেকদিন সেহরির শেষ সময় পরিবর্তিত হচ্ছে এবং ইফতারের সব সময় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আপনারা এই সময়সূচী যদি না জেনে নিতে পারেন তাহলে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট সময়ের অপেক্ষায় বসে না থাকাটাই ভালো হবে।

যেহেতু সময় পরিবর্তনশীল সেহেতু এই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আপনাদেরকে প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহ পাকের নির্দেশনা অনুসরণ করে করতে হবে এবং ইবাদতের ক্ষেত্রেই সময় আপনাদেরকে মেনে চলতে হবে। মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আমরা আপনাদেরকে বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক সেহরির শেষ সময় বিশেষভাবে জানিয়ে দিয়ে থাকলেও আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে ইফতারের সময়সূচি ও জানিয়ে দেবো যাতে করে এটা আপনাদের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করতে পারে।

আপনি যদি একজন ধর্ম পালন মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে মাহে রমজান মাস যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আপনি হয়তো খুব ভালো মতো জানেন এবং যারা জানে না তারাও এই মাহে রমজান মাসের ইবাদতের মাধ্যমে নিজেদের ভেতরে প্রশান্তি খুঁজে পেতে পারে। মাহে রমজান মাস একজন মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে এবং তার ভেতরে যত ধরনের খারাপ অভ্যাস রয়েছে সেগুলো দূরে সরিয়ে রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে আল্লাহ পাকের কাছে দুই হাত তুলে কাঁদার মাধ্যমে ভুলগুলো ক্ষমা চাইতে পারে। মাহে রমজান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম এবং অন্যান্য মাসের চাইতে আপনারা যখন মাহে রমজান মাসে ইবাদত করবেন তখন অবশ্যই 70 গুণ বেশি সওয়াব পাবেন।

মাহে রমজান মাসের ইবাদতগুলো যারা ছেড়ে দিচ্ছেন তারা অনেক ভুল কাজ করছেন এবং আল্লাহপাক এতে আপনাদের শারীরিক সুস্থতা এবং মানসিক সুস্থ থাকার পরেও যখন এটা গ্রহণ করবে না তখন হয়তো আপনারা অনেক পাপের ভাগীদার হবেন।তাই মাহে রমজান মাস উপলক্ষে আমরা আপনাদেরকে এগুলো জানিয়ে দিচ্ছি বলে আপনার এগুলো জেনে নিতে পারছেন এবং এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদেরকে ইবাদত করার ক্ষেত্রে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানিয়ে দিচ্ছি এবং সেগুলো আপনারা সংগ্রহ করে নিবেন। যদি আপনারা চান তাহলে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পোস্ট করার মাধ্যমে ফেসবুকবাসীদের জানিয়ে দিতে পারেন অথবা আপনার আশেপাশেও পরিবার-পরিজনদের কাছে এই সময়সূচি পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সময় সম্পর্কে অবগত করতে পারেন।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেহরি গ্রহণ করার জন্য অনেকেই ভুল করে থাকেন এবং অনেকে দেরি করে সেহেরী গ্রহণ করে থাকেন। যদিও অনেক ক্লান্তি নিয়ে আপনারা ঘুম থেকে উঠে এটা গ্রহণ করেন তারপরও বলবো যে আল্লাহ পাকের দেখানোর নির্দেশিত পথে একটু কষ্ট করে হলেও আপনারা ঘুম থেকে আগে উঠবেন এবং সেটা সম্পন্ন করার জন্য হাতে যথেষ্ট পরিমাণ সময় রাখবেন। এক্ষেত্রে আপনারা পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে থাকলে আবার একত্রে খাবার রান্না করলে আগে থেকে ঘুম থেকে উঠে আপনারা যদি এই সেহেরী সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে অনেক ভালো হবে এবং ইফতারের আগে যাবতীয় ধরনের প্রস্তুতি এবং কর্মব্যস্ততা শেষ করে সকলে একত্রে ইফতারের অংশগ্রহণ করতে পারবেন।