ময়মনসিংহ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

২০২৩ সালের ময়মনসিংহ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী  আপনি চহিলেয় ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।  আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে। এছাড়া প্রয়োজনীয় দোয়া-দরূদ কুরআন-হাদিসের আলেক কিচ্ছু পোষ্ট করা হয়েছে।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোযা ফরয করা হল, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের উপর ফরয করা হয়েছিল। যাতে তোমরা পরহেযগার হতে পার।

কেবলমাত্র পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম রোযা নয়। বরং রোযা পানাহার থেকে এবং অনুরূপ সকল সেই বস্ত্ত থেকে বিরত থাকার নাম, যা আল্লাহ নিষেধ করেছেন। যদিও নিষিদ্ধ কর্ম সকল মাসেই নিষিদ্ধ, তবুও বিশেষ করে রমাযান মাসে রোযা অবস্থায় তা বেশী করে নিষিদ্ধ।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

রোযা রোযাদারকে যদি পানাহার থেকে বিরত রাখে; যা তার জীবন ধারণের জন্য জরুরী এবং তাকে সকল যৌনাচার থেকে বিরত রাখে; যা তার দৈহিক ক্ষুধার প্রকৃতিগত বাসনা, তাহলে তার জন্য ওয়াজেব ও জরুরী এই যে, সে কোন প্রকারের পাপাচরণে লিপ্ত হবে না; তাতে সে পাপ যেমনই হোক। সে কোন প্রকারের অসার ক্রিয়া-কলাপে লিপ্ত হবে না; তাতে তার ধরন যেমনই হোক।

সে তার রোযা অবস্থায় থাকার সময়টুকুতে ইবাদতের অনুকূল আচরণে চরিত্রবাণ থাকবে। কারণ, ইবাদতে সে আল্লাহর সামনে হাযির থাকে। অতএব প্রত্যেক কথা বলার পূর্বে সে চিন্তা করবে, প্রত্যেক কর্ম করার পূর্বে সে ভেবে দেখবে যে, তার সে কথা ও কর্ম তার ইবাদত রোযার অনুকূল কি না? সে কথা বা কর্ম তাঁকে সন্তুষ্ট করবে কি, যাঁর সামনে ইবাদতের উদ্দেশ্যে সে উপস্থিত?

আর যদি রোযাদার তা না করতে পারে, তাহলে সে এমন রোযাদারদের দলে শামিল হয়ে যাবে, যাদের ব্যাপারে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘কিছু রোযাদার আছে, যাদের রোযায় ক্ষুধা ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না এবং কিছু তাহাজ্জুদগুযার আছে, যাদের তাহাজ্জুদে রাত্রি জাগরণ ছাড়া অন্য কিছু লাভ হয় না।

বলা বাহুল্য, যে রোযাদারের রোযা তার জন্য ঢালস্বরূপ হবে, যে রোযার মাধ্যমে সে ‘রাইয়ান’ নামক দরজা দিয়ে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে, তা হল সেই রোযা, যে রোযা রেখে থাকে রোযাদারের হৃদয় এবং তার সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।

রোযাদারের উচিৎ, যেন তার জিভও রোযা রাখে। অর্থাৎ, সে যেন প্রত্যেক নোংরা কথা থেকে; পরচর্চা বা গীবত থেকে, চুগলখোরী বা লাগান-ভাজান থেকে, অশ্লীল ও মিথ্যা কথা থেকে বিরত থাকে। দূরে থাকে মূর্খামি ও বেওকুফি করা থেকে। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি রোযা রেখে নোংরা কথা ও তার উপর আমল ত্যাগ করতে পারল না, সে ব্যক্তির পানাহার ত্যাগ করার মাঝে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ, তার রোযা কবুল করার ব্যাপারে তাঁর কোন ইচ্ছা নেই। আর তার মানে তার রোযা আল্লাহ কবুল করেন না।Mymensingh 1

রোযাদারের উচিৎ, অশ্লীলতা, হৈ-হট্টগোল ও গালাগালি করা থেকে দূরে থাকা এবং ভদ্রতা, আদব ও গাম্ভির্য অবলম্বন করা। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমাদের কারো রোযার দিন হলে সে যেন অশ্লীল না বকে ও ঝগড়া-হৈচৈ না করে; পরন্তু যদি তাকে কেউ গালাগালি করে অথবা তার সাথে লড়তে চায়, তাহলে সে যেন বলে, ‘আমি রোযা রেখেছি, আমার রোযা আছে।