মৌলভীবাজার জেলার রমজানের সময় সূচি 2023

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ৩ বা ৪ এপ্রিল। রমজান শুরুর সময় ৩ এপ্রিল ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ আপনি চাহিলে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, আমাদের ওয়েবসাইট থেকে।

রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না, যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’

রমজানুল মুবারকের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ‘রমজান- বরকতময় মাস তোমাদের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছে। পুরো মাস রোযা পালন আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। দুষ্ট শয়তানদের এ মাসে শৃংখলাবদ্ধ করে দেয়া হয়। এ মাসে আল্লাহ কর্তৃক একটি রাত প্রদত্ত হয়েছে, যা হাজার মাস থেকে উত্তম। যে এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল,

হযরত সালমান ফারসি রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবানের শেষ দিন আমাদের সামনে খুতবা দিলেন। তাতে বললেন, হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের উপরে ছায়া বিস্তার করছে একটি মহান, বরকতময় মাস। যাতে রয়েছে এমন একটি রাত- যা হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ তাআ’লা এর দিনের বেলায় রোযা ফরজ করেছেন আর রাতে কিয়ামকে করেছেন নফল। সুতরাং, এ মাসে যে ব্যক্তি কোন নফল আদায় করবে সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তুরটি ফরজ আদায় করল। এ মাস হল ছবরের মাস। আর ছবরের পুরুস্কার হল জান্নাত।

Moulovibazar 1

এ মাসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, যেগুলো পালন করার মাধ্যমে আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার নৈকট্য অর্জনের পথে ধাবিত হতে পারি, জান্নাতপ্রাপ্তির আশা আর জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রত্যাশা পোষন করতে পারি। রমজান মাসের বিশেষ বিশেষ আমল সম্পর্কে অত্র নিবন্ধে সামান্য আলোকপাতের চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ। তবে সকল প্রকারের নেক আমল কবুলযোগ্য হওয়ার জন্য কিছু বিষয়ের প্রতি আমাদের লক্ষ্য রাখা বাঞ্চনীয়ঃ

প্রতিটি আমল একনিষ্ঠতার সাথে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যে করা। সুতরাং, কোনো আমল করার পেছনে উদ্দেশ্য যদি থাকে টাকা উপার্জন কিংবা নেতৃত্ব অর্জন অথবা সুনাম সুখ্যাতি অর্জন; সে আমল হয়ে যাবে ইখলাসশুন্য। এমনসব ইবাদাত বা নেক আমলের দ্বারা আল্লাহ তাআ’লার সন্তুষ্টি অর্জিত হবে না, প্রকারান্তরে তা পরিনত হতে পারে শিরকের মত গোনাহে। যেমন, মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এসেছে।