মৌলভীবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ডাউনলোড

ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত মৌলভীবাজার জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩, আপনি চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে নিতে পারবেন।

উচ্চারণ : আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়তা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফায়তা, ওয়াতা ওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা, ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ-‘ত্বায়তা, ওয়াক্বিনী শাররা মা- ক্বযায়তা, ফাইন্নাকা তাক্বযী ওয়ালা- ইউক্বযা- ‘আলায়কা, ওয়া ইন্নাহূ লা- ইয়াযিল্লু মাওঁ ওয়ালায়তা, তাবা-রাক্তা রব্বানা- ওয়াতা‘আ-লায়তা।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

অনুবাদ : হে আল্লাহ! তুমি আমাকে হিদায়াত দান করে সে সব মানুষের সঙ্গে যাদের তুমি হিদায়াত দান করেছ (নবী রসূলগণ); তুমি আমাকে দুনিয়ার বিপদাপদ থেকে হিফাযাত করো ওসব লোকের সঙ্গে যাদেরকে তুমি হিফাযাত করেছ; যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছো, তাদের মাঝে আমারও অভিভাবক হও; তুমি আমাকে যা দান করেছ (জীবন, জ্ঞান সম্পদ, ধন, নেক আমাল) এতে বারাকাত দান করো; আর আমাকে তুমি রক্ষা করো ওসব অনিষ্ট হতে যা আমার তাকদীরে লিখা হয়ে গেছে; নিশ্চয় তুমি যা চাও তাই আদেশ করো; তোমাকে কেউ আদেশ করতে পারে না; তুমি যাকে ভালোবাসো তাকে কেউ অপমানিত করতে পারে না; হে আমার রব! তুমি বারাকাতে পরিপূর্ণ। তুমি খুব উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন।

Moulovibazar 1

ঈদের নামাজের ফজিলত

ঈদের সালাতের মহা ফজিলত রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ঈদের নামায পরিত্যাগ করেননি; এমনকি মহিলা, একান্তে বাসকারিনী ও ঋতুস্রাব ওয়ালী মহিলাদেরকেও ঈদের জামাতে শরীক হতে নির্দেশ দিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যুর পর সাহাবায়ে কেরাম কখনােই এই সুন্নত ত্যাগ করেননি। এ থেকেই ঈদের নামাজের গুরুত্ব ও ফযিলতের বিষয়টি অনুমান করা যায়। তাছাড়া এতে আল্লাহ তাআলার প্রতি শুকরিয়া জ্ঞাপন করা হয়, আল্লাহর বিধি-বিধানকে প্রকাশ ও সম্মান করা হয় এবং কল্যাণ কাজে মুসলমানদের সম্মিলিত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজ প্রবর্তনের হিকমত

ঈদের জামাত ও খুতবা পাঠের অন্যতম হিকমত হচ্ছে, কোনাে সম্মেলন যেন আল্লাহর স্মরণ এবং দ্বীনের বিধি-বিধানের গুরুত্ব প্রকাশ ব্যতীত অনুষ্ঠিত না হয়। পাশাপাশি এর মাধ্যমে শরীয়তের মূল উদ্দেশ্যসমূহের একটি উদ্দেশ্য সাধিত হয়, আর তা হচ্ছে প্রত্যেক জাতির প্রয়োজন একটি মহড়া, যাতে তারা তাদের শৌর্যবীর্যের প্রদর্শনী ও সংখ্যার আধিক্য দেখাবে। এ কারণেই মুস্তাহাব হচ্ছে, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, পুরুষ-মহিলা একান্তবাসী মেয়ে ও ঋতুস্রাব ওয়ালী মহিলা নির্বিশেষে সকলেই ঈদগাহে গমন করবে, যাওয়া ও আসার পথ ভিন্ন করবে; যাতে করে উভয় পথের লোকেরা মুসলিমদের ক্ষমতা দেখতে পায়।

ঈদের নামাজের সময়

ঈদের সলাতের সময়, সূর্যের এক বর্শা পরিমাণ উঁচু হওয়া থেকে সূর্য ঢলে যাওয়া পর্যন্ত। ইমাম ইবনে বাত্তাল রহঃ বলেন, ফুকাহাগণ এই ব্যাপারে একমত যে, ঈদের সালাত সূর্যোদয় হওয়ার আগে বা সূর্যোদয় হওয়ার সময় পড়া যাবে না, প্রকৃতপক্ষে যে সময় নফল সালাত পড়া জায়েজ, সে সময়টি ঈদের সালাতের সময়।

আল্লামা ইমাম ইবনুল কাইয়ুম এ বলেন, নবী সাঃ ঈদুল ফিতরের সালাত বিলম্ব করে পড়তেন এবং ঈদুল আযহা শীঘ্রই আদায় করতেন। ইবনু উমার রাঃ সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত (ঈদের সালাতের জন্য) বের হতেন না।