সৌদি আরবের দাম্মাম সেহরির শেষ সময় ২০২৩

রমজান মাস রহমতের মাস এবং আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মাস। আরবি অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং রমজান মাসের ইবাদতের গুরুত্ব অনেক বেশি। এজন্য মুসলমান ব্যক্তিরা রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করে। আর আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনা করা।

আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সুবহে সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সঠিক নিয়তের সাথে সকল প্রকার পানাহার ও নিদ্রা থেকে বিরত থাকাকেই রোজা রাখা বা সিয়াম সাধনা বলে। আর সঠিকভাবে রোজা রাখতে হলে অবশ্যই সেহরি ও ইফতারের সময়ের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ সঠিক সময় সেহরি করতে হবে এবং ইফতার করতে হবে। আর তাই মুসলমান ব্যক্তিগণ রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় গুলো জানার জন্য অনলাইনে সার্চ করতে থাকে। মূলত তাদের কথা মাথায় রেখে তারা যেন খুব সহজে সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় পেয়ে যায় এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

তবে আমাদের আজকের আদিকালটিতে মূলত সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরের সময়সূচী উপস্থাপন করা হয়েছে। বিশেষ করে দাম্মাম শহরের সময়সূচী এখানে দেওয়া আছে। যে সকল মুসলমান ব্যক্তি দাম্মাম শহরে বাস করছেন এবং ইফতারের সঠিক সময় জানতে চাচ্ছেন অথবা দাম্মাম শহরের স্থানীয় না হয়েও এবারের রমজান মাস দাম্মাম শহরে কাটাতে চাচ্ছেন, তারাই মূলত দাম্মাম শহরের সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় গুলো জানতে চায়।

মূলত তাদের জন্যই আমাদের আজকের আর্টিকেলটি বিশেষভাবে উপকারী হতে যাচ্ছে। কেননা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে দাম্মাম শহরের ইফতার ও সেহরির সঠিক সময় গুলো খুব সহজে সংগ্রহ করা যাবে এবং এই সময় গুলো অনুসরণ করে সঠিকভাবে রমজান মাসে রোজা রাখা যাবে। তাই আর দেরি না করে দাম্মাম শহরের মুসলমানগণ আমাদের আজকের আর্টিকেলটি থেকে দাম্মামের সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় গুলো সংগ্রহ করে নিতে পারেন।

যদি সঠিক সময়ে সেহরি না করা হয় তাহলে সঠিকভাবে রোজা রাখা বা সিয়াম পালন করা যায় না। কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে সেহরির সময় পার হওয়ার পরে সেহরি করে তাহলে তার রোজাটি হবে না এবং সে যদি সারাদিন সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকে তাহলেও তার রোজাটি পালন করা হবে না। কেননা সে সঠিক সময়ে সেহরি করেনি। তবে কোন ব্যক্তি যদি দুর্ঘটনার কারণে

সঠিক সময় সেহরি করতে না পারে অথবা ঘুম থেকে জেগে উঠতে না পারে, তাহলে সে যদি পরবর্তীতে নিয়তের সাথে রোজা রাখে এবং সারাদিন সকল প্রকার পানাহার থেকে বিরত থাকে ও আল্লাহর ইবাদতের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করে তাহলে সে তার কাজের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে এবং তার সিয়াম সাধনাটি পরিপূর্ণ হবে। এজন্য অবশ্যই মুসলমানদেরকে রোজা রাখার ক্ষেত্রে সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় গুলো জেনে নিতে হবে এবং সঠিক সময় অনুযায়ী সেহেরী ও ইফতার গ্রহণ করতে হবে।

সৌদি আরব জেদ্দা

Jeddah 1

সৌদি আরব দাম্মাম

Dammam 1

সৌদি আরব রিয়াদ

Riyadh 1

সৌদি আরব মক্কা

Makka 1

রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি অন্যান্য ইবাদত গুলো পালন করতে হবে এবং সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। রমজান মাসে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে মন থেকে ক্ষমা চায় এবং আশ্রয় প্রার্থনা করে তাহলে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং তার উপর রহমত বর্ষণ করবেন। তাছাড়া কোন ব্যক্তি তার পূর্ববর্তী ভুল কাজের জন্য যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে সেই ভুলগুলো আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন রমজান মাসের ওসিলায়। তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত এই মাসে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মগ্ন থাকা এবং বেশি বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করা। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য সিয়াম সাধনা করা এবং সকল প্রকার পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা উচিত।