কুষ্টিয়া জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ডাউনলোড

কুষ্টিয়া জেলার  সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি যারা নিতে চান। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে, খুব সহজে ডাউনলোড করে নিতে পরবেন। পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যাবতীয় ভোগবিলাস, হিংসা-বিদ্বেষ, উচ্ছলতা ও সংঘাত পরিহার করি এবং জীবনের সর্বস্তরে পরিমিতিবোধ, ধৈর্য্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করি

রহমত,  মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে বছর ঘুরে আবার এল পবিত্র মাহে রমজান। আজ বুধবার থেকে মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শুরু হয়েছে। পবিত্র রমজানে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রোজাদারের অন্তরে দানশীলতা ও বদান্যতার গুণাবলি সৃষ্টি হয়। রোজার দ্বারা মানুষ দানশীল ও আল্লাহর পথে ব্যয় করতে উদ্বুদ্ধ হয়। তাই মাহে রমজানকে সহানুভূতির মাস বলা হয়েছে। এ মাস সমাজের গরিব-দুস্থদের প্রতি অর্থ দ্বারা সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

প্রতিটি রোজাদার মুমিন বান্দা রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে খাদ্য-পানীয়ের অভাবে গরিব-দুঃখী ও দরিদ্র-অসহায় লোকেদের কষ্ট অনুভব করে থাকেন। এ জন্য তাদের মধ্যে দানের প্রবণতা সৃষ্টি হয়। ফলে সমাজের ধর্মপ্রাণ ধনী সামর্থ্যবান রোজাদার ব্যক্তি রোজা পালনের সঙ্গে সঙ্গে সম্পদ গঠনে গরিব-দুঃখী, দুস্থ, অভাবী, অনাথ, এতিম, মিসকিন ও কপর্দকহীন পথচারীকে প্রয়োজনে অর্থ বণ্টন করে দেবেন। তারা ক্ষুধার্ত হলে প্রয়োজনে তাদের সেহরি-ইফতারের বন্দোবস্ত করবেন, এটা মাহে রমজানে দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের সুবর্ণ সুযোগ। মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত।

রোজাদার ব্যক্তিকে ইবাদতে মগ্ন থেকে সহানুভূতি, সদয় আচরণ, দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম যেমন দানশীলতাকে উৎসাহিত করেছে, তেমনি পরনির্ভরশীল হওয়াকে নিরুৎসাহিত করেছে।Kustia 1

যিনি দাতা বা দানশীল তার হাত দানগ্রহীতা বা দান গ্রহণকারীর হাত থেকে উত্তম। দাতা শ্রেষ্ঠ এ জন্য যে, তিনি দানশীলতা ও বদান্যতার মাধ্যমে অন্যের উপকার করেন। যেহেতু দান গ্রহণহীন কাজ, সেহেতু স্বীয় অধীন অভাবগ্রস্ত আত্মীয়-স্বজন থেকে প্রথম দান শুরু করে নিজের বংশের লোককে অন্যের কাছে হাত পাতা তথা দান গ্রহণ থেকে রক্ষা করতে হবে। আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে যারা আত্মমর্যাদাশীল অথচ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত, তারা প্রকাশ্যে সাহায্য চাইতে লজ্জাবোধ করলেও তাদের থেকে দান আরম্ভ করা অপরিহার্য। আর দান করে রোজাদার ব্যক্তি অন্তরে কষ্ট অনুভব করলে সেই দান আল্লাহর কাছে গ্রহণীয় ও পছন্দনীয় হয় না। তাই প্রাচুর্য থেকে দান করলে অধিক পুণ্য হয়। কেননা এতে দাতার অন্তরে কোনোরূপ কষ্ট হয় না।

মহান আল্লাহ আমাদের জাতীয় জীবনে পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা কার্যকর করার তাওফিক দান করুন। মাহে রমজান আমাদের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি সকলের জীবন মঙ্গলময় হোক। আমাদের দেশ ও জাতি তথা বিশ্ববাসী এই করোনা মহামারি থেকে মুক্তি পাক – মহান রাব্বুল আল-আমিনের কাছে এই দোয়া করি।

কুষ্টিয়া জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ আমাদের ওয়েবসাইট থেকে আপনি চাহিলে নিতে পারেন।