আপনারা যদি সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে বসবাস করে থাকেন তাহলে সেখানকার সূর্যাস্তের উপর নির্ভর করে কর্তৃপক্ষ যে ইফতারের সময়সূচি প্রত্যেক বছর বেধে দেয় সেগুলো আমরা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। মূলত এই সময়সূচী প্রত্যেকটা মুসলমানের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে এটা কখনোই আপনারা এড়িয়ে যাবেন না এবং সারাদিন

কর্মব্যস্ততার পরে অথবা ক্লান্ত শরীরে যখন আপনারা ইফতার সামনে নিয়ে বসবেন তখন আল্লাহ পাকের উদ্দেশ্যে দুই হাত তুলে যদি মোনাজাত করতে পারেন যে এই নিয়ামতের জন্য আপনি কৃতজ্ঞতা প্রতারণা করছেন তাহলে তিনি অবশ্যই খুশি হবেন। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই সময়সূচী প্রদান করছি বলে সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে যারা বসবাস করছেন তারা অবশ্যই এই সময়সূচি নিজেরা জেনে নিবেন এবং বাংলাতে যাদের তথ্য বুঝতে সুবিধা হয় অথবা আপনার প্রতিবেশীদের মাঝে এই সময়সূচি শেয়ার করার মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানতে সুযোগ প্রদান করবেন।

মাহে রমজান মাস আমাদের মাসে চলে এসেছে এবং এই মাসের যে ফজিলত এবং শীতলতা তা আমাদের জীবনকে ছুঁয়ে দিচ্ছে। খুব ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন বছরের 11 মাসের যে পরিবেশ ও আবহাওয়া আমাদের মাঝে বিরাজ করে তা মাহে রমজান মাসে সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায় এবং সকল দিকে বিক্ষিপ্ত তার পরিবর্তে শীতলতা এবং স্থিরতার চিত্র আমরা দেখতে পাই। তাই মাহে রমজান মাসে আমরা বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা অর্জন করতে পারি এবং দৈনন্দিন জীবনে যারা যে সকল কাজের ক্ষেত্রে অলসতা প্রকাশ করে থাকে তারাও এই মাহে রমজান মাসে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় পেয়ে থাকেন এবং এক্ষেত্রে আপনারা সঠিকভাবে নিজেদের জীবনকে পরিচালনা করতে পারেন।

মাহে রমজান মাসের উপকারিতা যে কতটা অপরিসীম তা আপনারা বুঝতে পারবেন। কারণ এই মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত করার মধ্য দিয়ে আপনারা আল্লাহপাকের অনুগ্রহ অর্জন করার পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনের শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তি অর্জন করতে পারবেন। যারা শারীরিকভাবে অনেক মোটা তারা যদি নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে চলতে পারি তাহলে শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ বের হয়ে আমাদের জীবনকে সুন্দর করে দিবে এবং শারীরিক সমস্যার কারণে যারা বিভিন্ন ইবাদত করতে কষ্ট পায় তারাও অনেকটা ওজন হালকা করার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবে।

তাছাড়া যাদের ভেতরে মানসিক বিক্ষিপ্ততা রয়েছে এবং যারা কোন কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না তারা খুব সহজেই আল্লাহ পাকের এই মাসে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা এবং সালাতুল তারাবি আদায় করার মধ্য দিয়ে খুব সহজে প্রত্যেকটি ইবাদতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং আল্লাহ পাকের কাছে যখন আপনি নিজেকে উজাড় করে দেবেন তখন তিনিও আপনাকে দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। তাই সকল দিক বিবেচনা করে মাহে রমজান মাসের গুরুত্ব এবং ফজিলত এ অবলম্বন করে আপনারা প্রত্যেকটি কাজে অংশগ্রহণ করবেন এবং এক্ষেত্রে যদি সামান্য কষ্ট হয়ে থাকে তাহলে আপনার কষ্ট স্বীকার করে আল্লাহ পাকের নিয়ামতের কথা ভেবে প্রত্যেকটি ইবাদত করবেন। সর্বোপরি সকলের জন্য আল্লাহ পাকের নিকট দেওয়ার দরখাস্ত করে এই পোষ্ট এখানেই শেষ করছি।