গাইবান্ধা জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

আপনা চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আরো আনেক জ্ঞান আর্জন করতে পারবে।গাইবান্ধা জেলার রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। গাইবান্ধা জেলায় বসবাস করেন তারা রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সহ সকল ধরনের রোজা নিয়ম ও হাদিস থেকে কিচ্ছু  বয়ান পোস্ট করেছি। তোমরা কি জান ঈমান বিল্লাহ বা আল্লাহে বিশ্বাস কী… এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবূদ নেই এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) তাঁর রাসূল। অন্য বর্ণনায়: আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরীক নেই এবং মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে আমরা দেখছি যে, ঈমান বিল্লাহ বলতে আল্লাহর ইবাদতের একত্বে বিশ্বাস করা বুঝায়। আর এর অবিচ্ছেদ্য অংশ মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর রিসালাতের বিশ্বাস।

নবী-রাসূলগণের দা’ওয়াত বা প্রচারের বিষয় মূলত এক ছিল। তাঁরা সবাই মানুষদেরকে তাওহীদ বা একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে আহবান করেছেন এবং আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করতে নিষেধ করেছেন। মানুষদেরকে দুনিয়ার জীবনে আল্লাহর শেখানো পথে চলতে এবং সকল মানুষের জন্য কল্যাণময় সামাজিক জীবনে বাস করতে পথ নির্দেশ দিয়েছেন।

Gaibandha 1

যে বিশ্বাস, কর্ম বা আচরণ মানুষের অকল্যাণ করে বা আল্লাহর প্রেম থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে তা থেকে তাঁরা মানুষদেরকে নিষেধ করেছেন। তাঁদের মূল দাওয়াত ও ধর্ম ছিল এক ও অভিন্ন ইসলাম, তবে তাঁদের শরীয়াত বা বিধানাবলী ছিল যুগ ও সমাজ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন। মানুষদেরকে কল্যাণের পথে আহবান করা বা পথের নির্দেশ দেওয়াই ছিল তাঁদের দায়িত্ব। তাঁদের আহবানে সাড়া দেওয়া বা না দেওয়া ছিল মানুষের এখতিয়ার।

রক্তদান করা

পরীক্ষার জন্য কিছু রক্ত দেওয়া রোযাদারের জন্য বৈধ। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তদনুরূপ কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে রক্তদান করাও বৈধ এবং তা দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই। এতেও রোযার কোন ক্ষতি হয় না।

নাক অথবা কোন কাটা-ফাটা থেকে রক্ত বের হওয়া

দেহের কোন কাটা-ফাটা অঙ্গ থেকে রক্ত পড়লে রোযা নষ্ট হয় না। বরং তা দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই। অনুরূপ নাক থেকে রক্ত পড়লেও রোযা নষ্ট নয়। কারণ, তাতে মানুষের কোন এখতিয়ার থাকে না। আর ইচ্ছা করে বের করলে তাও দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মত।  তদনুরূপ মাথায় বা দেহের অন্য কোন জায়গায় পাথর বা অন্য কিছুর আঘাত লেগে রক্ত ঝরলে রোযা নষ্ট হয় না।

মিসওয়াক বা দাঁতন করা

দাঁতন করা রোযাদার-অরোযাদার সকলের জন্য এবং দিনের শুরু ও শেষ ভাগে সব সময়কার জন্য সুন্নত। এ ব্যাপারে মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর নির্দেশ ব্যাপক; তিনি বলেন, ‘‘দাঁতন করায় রয়েছে মুখের পবিত্রতা এবং প্রতিপালক আল্লাহর সন্তুষ্টি।

প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘আমি উম্মতের জন্য কষ্টকর না জানলে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় দাঁতন করতে আদেশ দিতাম।অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘—তাদেরকে প্রত্যেক ওযূর সময় দাঁতন করতে আদেশ দিতাম।