ফেনী জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

ফেনী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩,  ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত আপনি চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে নিতে পারবেন। ফেনী জেলা রমজানের সময়সূচী ২০২৩, ফেনী জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩, ফেনী জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৩, আজকের ফেনী জেলার সেহরির শেষ সময় ২০২৩, আজকের ফেনী জেলার ইফতারের শেষ সময় ২০২৩

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

Feni 1

ফিতরা দেওয়ার নিয়ম

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো ফিতরা দেওয়ার নিয়ম ও ফিতরার পরিমাণ। এই মর্মে অনেক মতভেদ আলেমগণের মধ্যে দেখা যায়; তাই এই বিষয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই; যেন আমরা সঠিকভাবে যাকাতুল ফিতর বা সদাকাতুল ফিতর প্রদান করতে পারি।

ফিতরা বা যাকাতুল ফিতর কি

যাকাতুল ফিতর একটি যৌগিক শব্দ; যা যাকাত ও ফিতর এর সমন্বয়ে গঠিত। সুতরাং যাকাতের আভিধানিক অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া, পবিত্রতা লাভ করা এবং প্রশংসা অর্থেও ব্যবহার হয়ে থাকে।

আর ফিতরের অর্থ হল রোজা ভঙ্গ করা, সৃষ্টি করা, বিদীর্ণ করা ইত্যাদি। যাকাতুল ফিতরের শরয়ী অর্থ হল: রোজা পালনকারীর বেহুদা কথাবার্তা ও অশ্লীলতার কাফফারা হিসেবে এবং মিসকিনদের আহারের ব্যবস্থার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে শেষ রোযা পূর্ণ হওয়ার পর নির্দিষ্ট পরিমাণে যে মাল (খাদ্য দ্রব্য) দেয়া হয় তাকে যাকাতুল ফিতর বলা হয়।

ফিতরের অন্যান্য নাম কী

১। সাদাকাতুল ফিতর (ভঙ্গ করার দান), ২। যাকাতুল ফিতর (ভঙ্গ করার যাকাত), ৩। যাকাতুর রমজান (রমজানের যাকাত), ৪। যাকাতুল আবদান (দেহের যাকাত), ৫। যাকাতুস সাওম (রোযার যাকাত), ৬। সাদাকাতুর রুউস (মাথাপিছু সাদাকাহ)।

যাকাতুল ফিতরের ধর্মীয় অবস্থান বা হুকুম কী

ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, প্রত্যক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সদকাতুল ফিতর হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

যাকাতুল ফিতর কখন ফরজ হয়

দ্বিতীয় হিজরী সনে রমাযান মাসে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে যাকাতুল ফিতর ফরয হয়।

মসজিদে তারাবিহ বা রাতের নামাজের সুব্যবস্থা করুন

ব্যাপক সওয়াব হাসিলের উদ্দেশ্যে তারাবির নামাজে মুসল্লির ব্যাপক সমাগম হয়। এ উদ্দেশ্যে ১. সুন্দর সুললিত কণ্ঠে দীর্ঘ কুরআন তিলাওয়াতের উদ্দেশ্যে হাফেজদের দ্বারা তারাবি পড়ানোর ব্যবস্থা করুন। ২. তারাবির নামাজে দ্রুত কুরআন পাঠ না করে ধীরে ধীরে তারতিলের সাথে পাঠের ব্যবস্থা করুন। ৩. যেদিন কুরআনের যে অংশ পাঠ হবে ইমাম সাহেব বা হাফেজ সাহেব সেদিন নামায শুরুর আগেই সে অংশের অর্থ/মর্ম মুসল্লিদের শুনিয়ে দিন

মাহে রমযানকে স্বাগত জানান

শাবান শেষে রমজানের চাঁদ দেখুন; একা একা দেখুন, দলবেঁধে দেখুন; রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখাে; তাই রমজানের চাঁদ দেখুন; এভাবে চাঁদ দেখার মাধ্যমে মাহে রমযানকে স্বাগত জানান এবং পুরো মাস রোজা রাখার তৌফিক চেয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।

সিয়াম পালনের উপযোগী পবিত্র পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ নিন

মাহে রমজানের বিশেষ ও মহোত্তম পবিত্র মর্যাদাকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে রমজান শুরু হবার আগে থেকেই সমাজে মানসিক ও বাস্তব পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করুন। এ উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ১. জনগণকে সচেতন করতে থাকুন। ২. মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবগণ খুতবায় এবং নামাযের আগে পরে আলোচনা করুন। ৩. ঘরে, মসজিদে, অফিস আদালতে কুরআন ও হাদিসের সিয়াম সংক্রান্ত আয়াত ও হাদিস গুলোর ব্যাপক পাঠ ও আলোচনা করুন। ৪. রমযানের ক্যালেন্ডার মুদ্রণ ও বিতরণ করুন। ৫. লিফলেট ও বুকলেট ছেপে বিতরণ করুন।