ফেনী জেলার রমজানের সময় সূচি 2023

আমরা এর আগে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টের মাধ্যমে ফেনী জেলার সেহরির শেষ সময় জানিয়ে দিয়ে থাকলেও আজকের এই পোস্টে আপনাদের জন্য রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি উভয় জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
তাই আপনারা যখন ফেনী জেলায় বসবাস করে থাকবেন এবং আপনার আশেপাশে জেলায় বসবাস করে থাকবেন তখন অবশ্যই এই সময়সূচি মেনে চলার চেষ্টা করবেন।

খুব ভালো করে লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন প্রত্যেকটা মসজিদে বর্তমান সময়ে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি এবং সালাতুল তারাবি কখন শুরু হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য গুলো আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে আমরা তো জানতে পারছি এবং সে অনুযায়ী প্রত্যেক দিনের সেহরিতে একত্রে অংশগ্রহণ করতে পারছি।আবার অনেক জায়গায় আছে যেখানে সেহেরী গ্রহণ করার জন্য বারবার মাইকিং করে ডাকা হয় এবং আমরা মসজিদের সকলের একত্রিত ডাকে জেগে ওঠে সেহেরী গ্রহণ করতে সক্ষম হয়।

তাই মাহে রমজানের এত‌ই গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস হওয়ার কারণে আমরা যদি এই মাসের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করে থাকি তাহলে দেখব যে এই মাসের প্রত্যেকটি ইবাদত আমাদের জীবনে এতটাই সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলছে এবং আমাদের জীবনে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে যে আমরা এটা কখনোই এড়িয়ে চলতে পারব না। তাই আমরা যদি আপনাদের মাধ্যমে এই সময়গুলো প্রদান করার চেষ্টা করে থাকি তাহলে আপনারা এগুলো আপনাদের প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিলেই তারা বুঝতে পারবে প্রত্যেকদিন সেহরীর সময় কখন শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং কখন কখন ইফতারের সময় চলে আসছে।

কারণ আমরা অনেকেই আছি যারা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখে এবং সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন ঘুমিয়ে পড়ি তখন সেহেরিতে ঘুম থেকে উঠে অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই সেহেরী গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আপনারা অবশ্যই সঠিক সময় অনুসরণ করবেন এবং এই ক্ষেত্রে আপনারা সেহেরী গ্রহণ করার পর সারাদিন ঘুমিয়ে না থেকে দৈনন্দিন জীবনে যে সকল কাজের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সেই সকল কাজ করবেন। এমনকি আপনি যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে সেহরি খাওয়ার পরে না ঘুমিয়ে ফজরের সালাত আদায় করে পড়াশোনাতে মনোনিবেশ করেন এবং এর মাধ্যমে আপনার পড়াশোনা অবশ্যই বরকতময় হবে এবং আপনি পড়াশোনার মাধ্যমে সুফল পেতে শুরু করবেন।Feni 1

আমরা যারা সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার কারণে কোথাও একটা বসে ইফতারের সেরে নেব বলে মনে করে থাকি তাদের উদ্দেশ্যে ও এই সময়সূচী জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।কারণ আপনি যখন ইফতারের সময়সূচি সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন তখন নির্দিষ্ট একটা স্থানে থেমে সেখানকারী ইফতারি গ্রহণ করতে পারবেন। অন্তত মুখে একটু পানি দিতে পারবেন।

তাই মাহে রমজান মাস পালন করার জন্য মহান আল্লাহ যেমন আমাদের সেহেরি গ্রহণ করার জন্য দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন তেমনি ভাবে ইফতারের অংশগ্রহণ করতে বলেছেন। অর্থাৎ খাবার গ্রহণ থেকে বের হতে থাকা এবং পরবর্তীতে খাবার গ্রহণ শুরু করা প্রসঙ্গে এই সেহরি ও ইফতারের বিষয়গুলো উঠে এসেছে বলে অবশ্যই বলে আমরা পালন করে মহান আল্লাহ পাকের নৈকট্য হাসিল করব।