ফরিদপুর জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

জেলা ভিতিক সেহেরী ও ইফতারির সময়সূচী ২০২৩ সালের ফরিদপুর জেলার ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে চান। মাহে রমজানের মাস আমাদের কাছে প্রশিক্ষণ ও কল্যাণের মাস। রোজার দিনে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরও রাতে বিশ রাকাত তারাবির নামাজ পড়তে হয়। এটি আমাদের জন্য রোজার মাসে বাড়তি ও বরকতময় ইবাদত।

এ মাসে দিনে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়লে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। কেননা, রোজার দিনে যেকোনো ভালো কাজের সওয়াব অন্য সময়ের তুলনায় ৭০ থেকে ৭০০ গুণ বেশি বলে ঘোষণা করেছে ইসলাম। তাই সবাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে নিয়মিত পড়ার চেষ্টা করব। এভাবে রোজার এক মাস নিয়মিত জামাতে নামাজ পড়লে এবং ভালো কাজ করলে বছরের বাকি মাসগুলোতে আমরা অনায়াসেই সে নিয়মে নামাজ আদায় করতে পারব। সব সময় ভালো কাজ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার সুযোগ পাবো।

অসাবধানতা-বশত কিছু খেয়ে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যায়’ আপনি যদি সত্যিই একদম ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তাহলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে, যদিনা আপনি বোঝার সাথে সাথে খাওয়া বন্ধ করে দেন। কিন্তু নামাজের আগে ওজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃত-ভাবে পানি খেয়ে ফেলেন তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

কারণ এই ভুল এড়ানো সম্ভব। মিঃ শাহরিয়ার বলেন, এ কারণে রোজা রেখে অজু করার সময় গারগল না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনি শুধু কুলি করে পানি ফেলে দিন। রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন, চোখের ড্রপ। এমসিবি বলেছে, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ বা ইনজেকশনে রোজা ভাঙবে না। তবে যেসব ওষুধ মুখে দিয়ে খেতে হয়, সেগুলো নিষিদ্ধ । সেহেরির আগে এবং ইফতারির পর তা খেতে হবে।

Faridpur 1

মিঃ শাহরিয়ার বলেন, প্রথম কথা আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে ভাবেতে হবে আপনি রোজা আদৌ রাখবেন কিনা? “কোরানে পরিস্কার বলা আছে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ মত চলুন।” যে কোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে’ ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে।

এমসিবি বলছে – শিশু, অসুস্থ (শারীরিক এবং মানসিক), দুর্বল, ভ্রমণকারী, অন্তঃসত্ত্বা বা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন নারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়। “যদি স্বল্প সময়ের জন্য কেউ অসুস্থ হন, তাহলে সুস্থ হওয়ার পর অন্য সময়ে তিনি ভাঙ্গা রোজাগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।”

মি শাহরিয়ার বলেন, “যদি দীর্ঘস্থায়ী কোনো অসুস্থতা থাকে এবং রোজা রাখা সম্ভব না হয়, তাহলে রোজার মাসের প্রতিদিন ফিদা অর্থাৎ গরীবকে কিছু দান করুন।” ব্রিটেনে এই ফিদার পরিমাণ নির্ধারিত করা হয়েছে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ পাউন্ড।