দিনাজপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩

দিনাজপুর  জেলার রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। দিনাজপুর জেলায় বসবাস করেন তারা রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি সহ সকল ধরনের রোজা নিয়ম ও হাদিস থেকে কিচ্ছু  বয়ান পোস্ট করেছি। আপনা চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আরো আনেক জ্ঞান আর্জন করতে পারবে।মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ সকল ধরনে যান-বাহন কত টাকা ভাড়া জানতে পারবেন।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

তদনুরূপই বাংলাদেশে চাঁদ হয়েছে বলে পাকা খবর পাওয়া গেলে পশ্চিমবাংলার লোকেদের জন্য রোযা রাখা ওয়াজেব হবে; যদিও মেঘের কারণে সেখানে (পশ্চিম বাংলায়) চাঁদ না দেখা যায়।

Dinajpur 1

শা’বানের শেষ দুই বা একদিন রোযা রেখে রমাযান বরণ করা

পূর্বসতর্কতামূলকভাবে রমাযানের এক দিন আগে থেকে রোযা রাখা বৈধ নয়। কারণ, রমাযানের রোযা চাঁদ দেখার সাপেক্ষে। সুতরাং এ ব্যাপারে নিজেকে ভারগ্রস্ত করা উচিৎ নয়।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যেন রমাযানের আগে আগে একটি বা দুটি রোযা না রাখে। অবশ্য এমন ব্যক্তির কথা ভিন্ন, যে সেই দিনের রোযা রাখায় অভ্যাসী। তার উচিৎ, সেদিনে রোযা রাখা।

ইফতারের সময়

যেমন পূর্বেই আলোচিত হয়েছে যে, সূর্যের পুরো বৃত্ত অদৃশ্য হওয়ার সাথে সাথে ইফতারের সময় হয়। আর সে সময় হল মাগরেবের নামাযের আগে। ইফতার করে নামায পড়ার পর প্রয়োজনীয় আহার ভক্ষণ করবে রোযাদার। অবশ্য যদি আহার প্রস্ত্তত থাকে, তাহলে প্রথমে আহার খেয়েই নামায পড়বে। যেহেতু আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘‘রাতের খাবার উপস্থিত হলে মাগরিবের নামায পড়ার আগে তোমরা তা খেয়ে নাও। আর সে খাবার খেতে তাড়াহুড়া করো না।

কিন্তু সময় হওয়ার পূর্বে ইফতার করা হতে সাবধান! কারণ, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) একদল লোককে (স্বপ্নে) দেখলেন যে, তারা তাদের পায়ের গোড়ালির উপর মোটা শিরায় (বাঁধা অবস্থায়) লটকানো আছে, তাদের কশগুলো কেটে ও ছিঁড়ে আছে এবং কশ বেয়ে রক্তও ঝরছে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, আমি বললাম, ‘ওরা কারা?’ তাঁরা বললেন, ‘ওরা হল তারা; যারা সময় হওয়ার পূর্বে-পূর্বেই ইফতার করে নিত।

রোযাদারের উচিৎ, ইফতার করার আগে পর্যন্ত রোযা থাকা অবস্থায় বেশী বেশী করে দুআ করা। কারণ, রোযা থাকা অবস্থায় রোযাদারের দুআ আল্লাহর নিকট মঞ্জুর হয়। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘তিন ব্যক্তির দুআ অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দুআ, রোযাদারের দুআ এবং মুসাফিরের দুআ।

পক্ষান্তরে ইফতার করার সময় দুআ কবুল হওয়ার কথা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ ব্যাপারে যা কিছু বর্ণনা করা হয়, তা যয়ীফ। অনুরূপ ইফতারের সময় একাকী বা জামাআতী হাত তুলে দুআও বিধেয় নয়। কারণ, সুন্নাহ (মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বা তাঁর সাহাবাগণের তরীকায়) এ আমলের বর্ণনা মিলে না। অতএব রোযাদার সতর্ক হন।