ভোলা জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ডাউনলোড

প্রিয় ভোলাবাসী আসসালামু আলাইকুম, আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বরিশাল জেলার বাসিন্দাদের জন্য সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি পোস্ট করছি। যারা ভোলা জেলায় বসবাস করেন তারা রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি জানতে চান। তাহলে অন্য কোথাও খোঁজাখুঁজি না করে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে নিন। ভোলা জেলার রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। তাই দেরি না করে এখনি প্রবেশ করুন।

আর জেনেনিন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী। রোজা রাখার উদ্দেশ্য মুসলমানরা সুবহে সাদিকের আগে সেহরি খেয়ে থাকেন। রোজা পালনের জন্য সেহরি খাওয়া সুন্নাত ও অধিক পুণ্যের কাজ। ক্ষুধা না থাকলেও সামান্য একটু পানি পান করাকেও সেহরি হিসেবে গণ্য করা হয়। সেহরি খাওয়ার মধ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নাহর অনুসরণ করা হয়।

অন্যদিকে সেহরি খাওয়ার মাধ্যমে রোজা রাখার শক্তি অর্জিত হয়। সেহরি খেলে রোজাদার সহজে দুর্বল ও মনোবলহীন হয়ে পড়েন না, সারাদিন দীর্ঘ সময়ের উপবাস বা অনাহারে থাকলেও কর্মঠ থাকার প্রাণশক্তি আসে এবং সিয়াম পালন সহ্যসীমার মধ্যে থাকে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সুবহে সাদিক না হয় অর্থাৎ পূর্ব দিগন্তে সাদা বর্ণ না দেখা যায়, ততক্ষণ পর্যন্ত সেহরি খাওয়ার অনুমতি আছে। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে তারপর আর কিছু খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ নেই। সেহরি খাওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তোমরা পানাহার করো, যতক্ষণ না কালো রেখা থেকে ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রাত পর্যন্ত রোজা পূর্ণ করো।

রাসূল (সা.) সেহরি খেতে আদেশ করেছেন। বুখারী ও মুসলিম শরিফে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমরা সেহরি খাও, কারণ সেহরিতে বরকত রয়েছে। রাসূল (সা.) কখনো সেহরি থেকে বিরত থাকতেন না। সাহাবায়ে কেরামকেও সেহরির ব্যাপারে তাগিদ দিতেন এবং নিজের সঙ্গে শরিক করতেন। রাসূল (সা.) এর কাছে একজন সাহাবি এলেন যখন তিনি সেহরি খাচ্ছিলেন। রাসূল (সা.) তাকে দেখে বললেন, এ খাবার বরকতের। আল্লাহ পাক বিশেষভাবে তোমাদের তা দান করেছেন। কাজেই তোমরা সেহরি খাওয়া ছেড়ে দিও না।

মুসলিম শরিফে হজরত আমর ইবনুল আস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, আমাদের এ সিয়াম ও আহলে কিতাবদের (ইহুদী ও খৃষ্টান) রোজার মধ্যে পার্থক্য হলো সেহরি খাওয়া।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যেসব মুসলমান ভোর রাতের এ সময়ে জেগে আল্লাহ পাকের হুকুম মেনে সেহরি খেতে বসে, আল্লাহ পাক খুশি হয়ে তাদের জন্য বিশেষ রহমত অবতীর্ণ করেন এবং মহান আল্লাহর ফেরেশতারা সেহরি গ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ দোয়া করতে থাকেন। সেহরি খাওয়ার উত্তম সময়ও নির্দিষ্ট করা আছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা রাতের অন্ধকার প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত পানাহার কর।Bhola 1

সেহরি ও ইফতারের সম্পর্কে ইসলামিক ফাউন্ডেশ ভোলা জেলার জন্য এই ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা হয়েছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে। তাই দেরি না করে এখনি প্রবেশ করুন।

মনোযোগসহ পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। চাইলে শেয়ার কিংবা কপি করে অন্যের কাছে পৌঁছাত পারেন।