ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ ডাউনলোড

ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ডাউনলোড

ঠাকুরগাঁও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩ আপনি চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে নিতে পারবেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর ও জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি।

সাদাকাতুল ফিতর দেশের প্রধান খাদ্য থেকে হওয়াই বাঞ্ছনীয়; যদিও হাদীসে সে খাদ্যের উল্লেখ নেই, যেমন চাল। পক্ষান্তরে যে সব খাদ্যের কথা হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ এসেছে; যেমন খেজুর, যব, কিসমিস ও পনীর – এ সব খাদ্য আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর যুগের মত দেশের প্রধান খাদ্য না হলে তা থেকে ফিতরা আদায় যথেষ্ট হবে না।

হাদীসে ঐ চারটি খাদ্যের উল্লেখ আসার কারণ হল, সে যুগে মদ্বীনায় সেগুলি প্রধান খাদ্যসামগ্রীরূপে ব্যবহার হত। সুতরাং তার উল্লেখ উদাহরণস্বরূপ করা হয়েছে; নির্ধারণস্বরূপ নয়। আবূ সাঈদ (রাঃ) বলেন, ‘আমরা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর যামানায় ঈদের দিন এক সা’ খাদ্য আদায় দিতাম। আর তখন আমাদের খাদ্য ছিল, যব, কিসমিস, পনীর ও খেজুর।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ‘খাদ্য’ বলে মৌলিক উপাদানের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। অর্থাৎ, ফিতরা ছিল মানুষের খাদ্য ও আহার; যা খেয়ে লোকেরা জীবন ধারণ করত। এ কথার সমর্থন করে ইবনে আববাস (রাঃ)-এর হাদীস; তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) রোযাদারের অসারতা ও যৌনাচারের পঙ্কিলতা থেকে পবিত্রতা এবং মিসকীনদের আহার স্বরূপ (সাদাকাতুল ফিতর) ফরয করেছেন —।

সুতরাং যে দেশের প্রধান খাদ্য কোন শস্য অথবা ফল না হয়; বরং গোশত হয়, যেমন যারা পৃথিবীর উত্তর মেরুতে বসবাস করে তাদের প্রধান খাদ্য হল গোশত, তারা যদি ফিতরায় গোশত দান করে, তাহলে সঠিক মত এই যে, নিঃসন্দেহে তা যথেষ্ট হবে।

সারকথা, দেশের প্রধান খাদ্য শস্য, ফল বা গোশত যাই হোক না কেন, ফিতরায় তা দান করলে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। তাতে সে খাদ্যের কথা হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ থাক অথবা না থাক।

মহানবী সঃ এর সাহাবীগণ খুব তাড়াতাড়ি (সময় হওয়া মাত্র) ইফতার করতেন এবং খুব দেরী করে সেহরি খেতেন; সুতরাং সেহরী আগে আগে খেয়ে ফেলা উচিত নয়। মধ্য রাতে সেহরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া তাে মােটেই উচিত নয়; কারণ, তাতে ফজরের নামাজ ছুটে যায়; ঘুমিয়ে থেকে হয় তার জামাত ছুটে যায়; নচেৎ, নামাজের সময় চলে গিয়ে সূর্য উঠার পর চেতন হলে নামাযটাই কাযা হয়ে যায়; নাউযু বিল্লাহি মিন যালিক; আর নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় মুসিবত; যাতে বহু রোজাদার ফেঁসে থাকে; আল্লাহ তাদেরকে হেদায়েত দান করুক, আমিন।

ইফতারের সময়

মহানবী সঃ বলেন, রাত যখন এদিক (পূর্ব গগন) থেকে আগত হবে, দিন যখন এদিক (পশ্চিম গগণ) থেকে বিদায় নেবে এবং সূর্য যখন অস্ত যাবে, তখন রোজাদার ইফতার করবে।

বলা বাহুল্য, স্থানীয়ভাবে সূর্যের বৃত্তের সমস্ত অংশটা অদৃশ্য হয়ে (অস্ত) গেলে রোজাদারের উচিত, সাথে সাথে সেই সময় ইফতার করা। আর এ সময় নিম্ন আকাশে অবশিষ্ট লাল আভা থাকলেও তা দেখার নয়।