সিলেট জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ সেহরির শেষ সময় ডাউনলোড

সিলেট বিভাগের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত সিলেট জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২, আপনি চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে নিতে পারবেন। সিলেট জেলা রমজানের সময়সূচী ২০২২, সিলেট জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২২, সিলেট জেলার রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২২, আজকের সিলেট জেলার সেহরির শেষ সময় ২০২২, আজকের সিলেট জেলার ইফতারের শেষ সময় ২০২২
রোজা ভঙ্গের কারণ সমূহ কি কি
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকের আলোচনার বিষয় রোজা ভঙ্গের কারণ।
Click here to Download Ramadan Calendar
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
Table of Contents
রোজা ভঙ্গের কারণ
রোজা ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথাঃ
১. স্ত্রী সহবাস করা
সাওম পালনকারীর সহবাসের ফলে সাওম ভঙ্গ হয়; সে যদি সাওম ওয়াজিব অবস্থায় রমজানের দিনে সহবাস করে, তাহলে তার ওপর কাফফারা ওয়াজিব হবে, তার কঠিন অপরাধের কারণে। কাফফারা হচ্ছে গোলাম আযাদ করা, যদি তা না পাওয়া যায় তাহলে লাগাতার দু’মাস সাওম পালন করা, যদি সামর্থ্য না থাকে তাহলে ষাটজন মিসকিনকে খাদ্য দান করা। আর যদি সহবাস কারীর উপর সাওম ওয়াজিব না থাকে, যেমন মুসাফির, তাহলে তার ওপর কাযা ওয়াজিব হবে, কাফ্ফারা নয়।
২. সহবাস ছাড়া অন্য যেকোন উপায়ে বীর্যপাত
সাওম অবস্থায় স্পর্শ বা চুম্বন ইত্যাদি দ্বারা বীর্যপাত ঘটানো, যদি চুম্বনের ফলে বীর্য বের না হয়, তাহলে তার ওপর কিছু ওয়াজিব হবে না।
৩. পানাহার করা
অর্থাৎ মুখ অথবা নাক দ্বারা পানীয় অথবা খাদ্য জাতীয় কিছু পেটে স্থানান্তর করা; সাওম পালনকারীর জন্য ঘ্রাণ জাতীয় ধোঁয়া পেটে নেওয়া বা গলাধঃকরণ করা (ধূমপান) বৈধ নয়; কারণ, ধোঁয়ার শরীর আছে, তবে সুঘ্রাণ জাতীয় দ্রব্য শুকলে (গলধঃকরণ করলে) সমস্যা নেই।
৪. খাদ্যানুরূপ কিছু গ্রহণ করা
যেমন, খাদ্য জাতীয় ইনজেকশন নেওয়া। যদি ইনজেকশন খাদ্য জাতীয় না হয়, তবে সাওম ভাঙ্গবে না, রগে বা গোশতে যেখানেই তা প্রয়োগ করা হোক।
৫. শিঙ্গা লাগানো
শিঙ্গা লাগানো বা অন্য কোন পদ্ধতিতে শিঙ্গার পরিমাণ রক্ত বের করা, যে কারণে শরীর দুর্বল হয়। হ্যাঁ যদি পরীক্ষার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়, তাহলে সাওম ভঙ্গ হবে না। কারণ, এ জন্য শরীর দুর্বল হয় না, যেমন দুর্বল হয় শিঙ্গা লাগানোর ফলে।
৬. ইচ্ছাকৃত বমি করা
অর্থাৎ পেট থেকে খানা অথবা পানীয় জাতীয় কিছু বের করা।
৭. নারীদের হায়েয ও নেফাস
নারীদের মাসিক ঋতু ও সন্তান প্রসব জনিত কারণে রক্তস্রাব।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও নিয়ম: আরবী তাহাজ্জুদ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঘুম থেকে উঠে সালাতে দণ্ডায়মান ব্যক্তি; তাহাজ্জুদ নামাজ একটি বিশেষ ফজিলত পূর্ণ সালাত যা মুমিনের ঈমানকে আরো দৃঢ় করে দেয়। তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ; কুরআন, সুন্নাহ ও উম্মতের ইজমা দ্বারা তা প্রমাণিত; আল্লাহ তা’আলা রহমানের বান্দাদের গুণাগুণ সম্পর্কে বলেন, আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দন্ডায়মান হয়ে রাত্রি যাপন করে। তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত করে পড়া উত্তম। দিনে অথবা রাতে নফল নামায এক সালামে দুই রাকাত করে পড়াই উত্তম, যদিও চার রাকাত, এমনকি আট রাকাতও এক সালামে পড়া যায়।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতের সালাতের জন্য খুব পরিশ্রম করতেন
এমনকি তার কদম মোবারক ফেটে যেত। তিনি রাতের কিয়ামে প্রচুর কষ্ট করতেন। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এত কিয়াম করতেন যে, তার দুই পা ফেটে যেত। আয়েশা তাকে বললেন: হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আপনি কেন এরূপ করেন, অথচ আল্লাহ আপনার পূর্বাপর সব গুনাহ মাফ করে দিয়েছেন? তিনি বললেন: আমি কি আল্লাহর শোকর গুজার বান্দা হতে পছন্দ করব না!