সুনামগঞ্জ জেলার ইফতারের সময়সূচি ২০২৩
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত সুনামগঞ্জ জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩, আপনি চাহিলে আমাদের ওয়েবসাইটে থেকে নিতে পারবেন।
Click here to Download Ramadan Calendar
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
Table of Contents
খুতবার আগে ঈদের নামাজ
ইমাম ইবনু কুদামা রহঃ খুতবার পূর্বে ঈদের সালা
ঈদের নামাজের স্থান
প্রিয় নবী সাঃ মসজিদ বাদ দিয়ে ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হতেন। অনুরূপ খলীফাগণও তার উপর আমল করতেন। নবী সাঃ মসজিদ কাছে থাকা সত্ত্বেও ঈদগাহে গমন করতেন। কারণ, সেটাই ছিল উত্তম এবং তিনি নিজ উম্মতের জন্য উত্তম কাজ গুলো ছাড়া অন্য কিছুই চালু করতেন না। তবে বর্তমানে মক্কাবাসীদের হারাম শরীফে ঈদের সালাত আদায়ের কারণ এই যে, মক্কা হচ্ছে পাহাড়-পর্বতে ভরা। আর সেখানে থেকে খোলা মাঠ অনেক দূরে।
ত আদায়ের উপর ইজমা (ঐক্যমত) বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইবনুল মুনযির রহঃ বলেন, রাসূল সাঃ হতে প্রমাণিত আছে যে, তিনি ঈদের দিন খুতবার পূর্বে সলাত আরম্ভ করতেন, তেমনি ভাবে হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনও করতেন, এবং এই মতের উপর মুসলিম বিশ্বের সমস্ত আলেমগণ একমত আছেন। ইবনে আব্বাস বলেন,
আমি নবী সঃ , আবু বকর, উমর, ও উসমান রাঃ এর সাথে উপস্থিত ঈদের সালাতে থেকেছি, তারা সবাই খুতবার পূর্বে (ঈদের) সলাত আদায় করতেন।
ঈদের নামাজের জন্য কোন আযান নেই
ইবনে আব্বাস ও জাবির রাঃ হতে বর্ণিত আছে, তারা বলেন, ঈদুল-ফিতর ও ঈদুল আযহার (সালাতের) জন্য আযান দেওয়া হতো না। জাবের বিন সামুরা রাঃ হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সঙ্গে বহুবার ঈদের সলাত পড়েছি; বিনা কোন আযান ও ইকামতে।
ঈদের নামাজের নিয়ত
নিয়ত মানে মনের সংকল্প। আর তার স্থান হল অন্তর; মুখ নয়। মহানবী সঃ ও তার সাহাবীদের কেউই কোন নির্দিষ্ট শব্দ মুখে উচ্চারণ করতেন না। তাই তা মুখে উচ্চারণ করা বিদআত। তাছাড়া নিয়তের জন্য কোন বাধা-ধরা শব্দাবলীও নেই।
মহান আল্লাহ বলেন,
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে। এটাই সঠিক ধর্ম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম; আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে লাইলাতুল কদরের ফজিলত গুরুত্ব ও তাৎপর্য। কুরআন ও হাদিসে লাইলাতুল কদরের বিশেষ কিছু ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে।
শবে কদরের ফজিলত ও মাহাত্ম
শবে কদরের রয়েছে বিশাল মর্যাদা ও মাহাত্ম
মহান আল্লাহ এই রাতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন এবং সে রাতের মাহাত্ম্য ও ফজিলত বর্ণনা করার জন্য কুরআন মাজীদের পূর্ণ একটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন এবং সেই সূরার নামকরণও হয়েছে তারই নামে। মহান আল্লাহ বলেন,
অর্থাৎ, নিশ্চয় আমি ঐ কুরআনকে শবে কদরে অবতীর্ণ করেছি। তুমি কি জান, শবে কদর কি? শবে কদর হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
এক হাজার মাস সমান ৩০ হাজার রাত্রি। অর্থাৎ এই রাতের মর্যাদা ৩০,০০০ গুণ অপেক্ষাও বেশী! সুতরাং বলা যায় যে, এই রাতের ১টি তাসবিহ অন্যান্য রাতের ৩০,০০০ তসবীহ অপেক্ষা উত্তম; অনুরূপ এই রাতের ১ রাকআত নামাজ অন্যান্য রাতের ৩০,০০০ রাকআত অপেক্ষা উত্তম। বলা বাহুল্য, এই রাতের আমল শবে কদর বিহীন অন্যান্য ৩০ হাজার রাতের আমল অপেক্ষা অধিক শ্রেষ্ঠ; সুতরাং যে ব্যক্তি এই রাতে ইবাদত করল, আসলে সে যেন ৮৩ বছর ৪ মাস অপেক্ষাও বেশি সময় ধরে ইবাদত করল।