কুড়িগ্রাম জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

কুড়িগ্রাম জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৩ ডাউনলোড

কুড়িগ্রাম জেলার রমজান মাসের, আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আপনারা চাইলে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী মোবাইলে বা কম্পিউটারে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে ফেসবুক সহ সকল ধরনের পোস্ট করিতে পারবেন। তাই দেরি না করে এখনি আমাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে ডাউনলোড করেনিন রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রামবাসী বসবাসকারীরা সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২৩, পক্ষান্তরে রোযার দিনে দাঁতের মাজন (টুথ পেষ্ট্ বা পাওডার) ব্যবহার না করাই উত্তম।

বরং তা রাত্রে এবং ফজরের আগে ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ, মাজনের এমন প্রতিক্রিয়া ও সঞ্চার ক্ষমতা আছে, যার ফলে তা গলা ও পাকস্থলীতে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনুরূপ আশঙ্কার ফলেই মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) লাকীত্ব বিন সাবরাহকে বলেছিলেন, ‘‘(ওযূ করার সময়) তুমি নাকে খুব অতিরঞ্জিতভাবে পানি টেনে নিও। কিন্তু তোমার রোযা থাকলে নয়।

Click here to Download Ramadan Calendar

সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

বলা বাহুল্য, রোযাদারের জন্য মাজন ব্যবহার না করাই উত্তম। আর এ ব্যাপারে সংকীর্ণতা নেই। কারণ, সে ইফতার করে নেওয়া পর্যন্ত সময় অপেক্ষা করে যদি তা ব্যবহার করে, তাহলে সে এমন এক জিনিস থেকে দূরে থাকতে পারবে, যার দ্বারা তার রোযা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পক্ষান্তরে নেশাদার ও দেহে অবসন্ন আনয়নকারী মাজন; যেমন, গুল-গুরাকু প্রভৃতি; যা ব্যবহারের ফলে মাথা ঘোরে অথবা ব্যবহারকারী জ্ঞানশূন্য হয়ে যায়, তা ব্যবহার করা বৈধ নয়; না রোযা অবস্থায় এবং না অন্য সময়। কারণ, তা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর এই বাণীর আওতাভুক্ত হতে পারে, যাতে তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেক মাদকতা আনয়নকারী দ্রব্য হারাম।

Kurigram 1

জ্ঞাতব্য যে, দাঁতের মাড়িতে ক্ষত থাকার ফলে অথবা দাঁতন করতে গিয়ে রক্ত বের হলে তা গিলে ফেলা বৈধ নয়; বরং তা বের করে ফেলা জরুরী। অবশ্য যদি তা নিজের ইচ্ছা ও এখতিয়ার ছাড়াই গলায় নেমে যায়, তাহলে তাতে কোন ক্ষতি হবে না।

পানিতে নামা, ডুব দেয়া সাঁতার কাটা

রোযাদারের জন্য পানিতে নামা, ডুব দেওয়া ও সাঁতার কাটা, একাধিক বার গোসল করা, এসির হাওয়াতে বসা এবং কাপড় ভিজিয়ে গায়ে-মাথায় জড়ানো বৈধ। যেমন পিপাসা ও গরমের তাড়নায় মাথায় পানি ঢালা, বরফ বা আইসক্রিম চাপানো দোষাবহ নয়।

মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রোযা রেখে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর অপবিত্র অবস্থায় ফজর হত। অতঃপর তিনি গোসল করতেন।

আবূ বাক্র বিন আব্দুর রহমান নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর কিছু সাহাবী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাহাবী) বলেন, আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-কে দেখেছি, তিনি রোযা রেখে পিপাসা অথবা গরমের কারণে নিজ মাথায় পানি ঢেলেছেন।

রোযা রাখা অবস্থায় ইবনে উমার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিজের দেহের উপর রেখেছেন।

অবশ্য সাঁতার কেটে খেলা করা মকরূহ। কারণ, তাতে রোযা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তাই। কিন্তু যার কাজই হল ডুবরীর অথবা প্রয়োজনের তাকীদে পানিতে বারবার ডুব দিতে হয়, সে ব্যক্তি পেটে পানি পৌঁছনো থেকে সাবধান থাকতে পারলে তার রোযার কোন ক্ষতি হবে না।